বিয়ের আগে মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা কেন প্রয়োজন?
বিয়ের আগে মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন করাবেন ?
বিয়ে হচ্ছে একটি সামাজিক চুক্তি। এই চুক্তির বলে প্রাপ্তবয়স্ক একজন পুরুষ ও নারী একসঙ্গে বসবাস ও সহবাস করতে পারেন। বিয়ের পাত্র-পাত্রী মোট দু’জন। এই পাত্র-পাত্রীদের বিয়ে-পূর্ব ব্যক্তিত্ব দু’জনার জানা থাকলে বিয়ে-পরবর্তী জীবন-যাপন অনেকটা ভাল হয়। আমাদের দেশে বিয়ের পূর্বে ছেলে ও মেয়ের মেলামেশা করা ও একে অপরকে ভালভাবে চেনা-জানা ও যাচাই করার কোনোরূপ সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় বিয়ে মানে কোনো কিছু না জেনে অন্ধকারে
ঝাঁপ দেয়া। বিদেশে বিভিন্ন ধরনের ম্যারেজ কাউন্সেলর রয়েছে। সেখানে পাত্র-পাত্রী আলাদাভাবে উপদেশ বা দিক নির্দেশনা লাভ করতে পারে। আমাদের দেশে এই পদ্ধতি এখনো গড়ে উঠেনি। আশা করা যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এবারে আসি বর ও কনের ব্যক্তিত্বের খোলামেলা আলোচনায়।
ব্যক্তিত্ব একজন ব্যক্তির চাল-চলন, আচার-ব্যবহার, আবেগ-অনুভূতি সবকিছুর একটি সমষ্টিগত প্রকাশ। যে কয়টি বড় বড় ব্যক্তিত্বের ধরন নিয়ে আমরা আলোচনা করবো তার প্রতিটি উপসর্গ যে এক ব্যক্তির মধ্যে উপস্থিত থাকবে তা নয়। ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ মিলে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। তবে মলত যে উপাদানগুলি বেশি থাকে তাকে সেই ব্যক্তিত্বের গোত্রে ফেলা হয়।
১। দুশ্চিন্তা প্রবণ ব্যক্তিত্বঃ এই ব্যক্তিত্বের ছেলে কিংবা মেয়ে স্বাভাবিকের চেয়েও দুশ্চিন্তা প্রবণ হয়। অল্পতেই তারা নার্ভাস ফিল করেন। যে কোনো ছোটখাটো প্রতিকূল পরিবেশে তারা সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে না। সবসময় একটি দুশ্চিন্তাপূর্ণ ভাবের প্রকাশ থাকে তাদের চোখে-মুখে, কথা-বার্তায়। অন্যের কথা মন দিয়ে শুনে কম, নিজে বলে বেশি। প্রতিটি জিনিসকে নেগেটিভ ভাবে দেখার প্রবণতা বেশি। এদের আচার-ব্যবহার হয় অত্যন্ত দ্রুত, কথা-বার্তা বলে একটু ত্বরিত গতিতে। অনেক ক্ষেত্রে তোতলাতেও দেখা যায়। নিদ্রার সমস্যা, আহারের সমস্যা এবং কোষ্ঠের সমস্যাও থাকতে পারে।
২। হিস্টেরিয়া বা নাটকীয় ব্যক্তিত্বঃ এই ব্যক্তিত্বের প্রভাব মেয়েদের মধ্যে বেশি থাকে এবং ছেলেদের মধ্যে কম পাওয়া যায়। এরা নাটকীয়পনা পছন্দ করে বেশি। সাইকোলজিতে যাকে বলা হয় ড্রামাটাইজেশন। মনের বিপরীতে কোনো কথা এরা সহ্য করতে পারে না। প্রতিবাদের ভাষা অসুখের মাধ্যমে প্রকাশ করে। অনেকে ঘনঘন ‘ফিট’ বা ‘অজ্ঞান’ হয়ে যায়। অনেকের খিঁচুনি হয়, অনেকের আবার তাৎক্ষণিক স্মরণশক্তি লোপ পেয়ে যায়।
৩। সন্দেহবাতিক ব্যক্তিত্বঃ এই ব্যক্তিত্বের ছেলে বা মেয়ের সাথে সংসার করা অত্যন্ত কষ্টের। এই ব্যক্তিত্বের লোকদের প্রকাশভঙ্গি কম। ভালবাসা কিংবা আবেগ-এর প্রকাশ কম। সঙ্গিনী নতুন কিছু রান্না করলে বা চমৎকার সাজগোজ করলে এরা কোনো দিনই উৎসাহ ব্যঞ্জক কিংবা প্রশংসা সূচক কিছুই বলে না। সংসারের কাজকর্মে এরা থাকে নির্লিপ্ত। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ছোটখাটো কাজগুলোতে এরা প্রায় কেন করা হলো, কি জন্য করলো, কে করলো ইত্যাদি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। অনেক ক্ষেত্রে মাত্রার চেয়ে বেশি সন্দেহ প্রকাশ করে। মুখের কথায় এরা সঙ্গিনীকে ভালবাসায় ভিজিয়ে ফেলে কিন্তু কাজকর্মে ঠিকই সন্দেহ করে। বর ও কনে দু’জনেই যদি সন্দেহ প্রবণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয় তাহলে সংসার দোযখে পরিণত হয়।
৪। বাধ্যবাধক ও খুঁতখুঁতে ব্যক্তিত্বঃ সাধারণত মেয়েদের মধ্যে এটি পাওয়া যায় বেশি। একদম ছোট বেলা থেকে শুরু হয় এর কার্যকলাপ। উপসর্গগুলো প্রথম দিকে মাত্রায় অল্প থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এই অল্প মাত্রাতেই জীবন কেটে যায়। নানা রকম সাংসারিক টানাপোড়েন ও চড়াই-উৎরাই-এর মধ্যে উপসর্গগুলো কমবেশি হতে পারে। এই ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য এই যে, এরা প্রতিটি জিনিসে খুঁতখুঁত করে। একটি কাজ তারা একাধিকবার না করলে মনোপুত হয় না। ছোটখাটো যে কোনো কাজ একের অধিকবার করতে হয়। একবার কাজ করেই মনের সন্তুষ্টি পাওয়া যায় না। বারংবার তা করতে হয়। যেমন- হাত ধোয়া, ময়লা পরিষ্কার করা, গোসল করা ইত্যাদি। এই ব্যক্তিত্বের সঙ্গিনি যদি তার উপসর্গগুলোকে নিম্নমাত্রায় রাখতে পারেন তাহলে তিনি একজন আদর্শ গৃহিণী হতে পারবেন।
পাঠকগণ, আমরা এতোক্ষণ কয়েকটি ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করলাম। এছাড়াও আরো বেশ কিছু ব্যক্তিত্বের ধরন রয়েছে যা এখানে আলোচিত হলো না। তাই বিবাহের পূর্বে পাত্র বা পাত্রীর ব্যক্তিত্বের উপসর্গগুলো দেখে নেয়া বা জেনে নেয়া এখন অত্যন্ত দরকারী ।পাঠক আপনার কি মনে হয়?
বিয়ে হচ্ছে একটি সামাজিক চুক্তি। এই চুক্তির বলে প্রাপ্তবয়স্ক একজন পুরুষ ও নারী একসঙ্গে বসবাস ও সহবাস করতে পারেন। বিয়ের পাত্র-পাত্রী মোট দু’জন। এই পাত্র-পাত্রীদের বিয়ে-পূর্ব ব্যক্তিত্ব দু’জনার জানা থাকলে বিয়ে-পরবর্তী জীবন-যাপন অনেকটা ভাল হয়। আমাদের দেশে বিয়ের পূর্বে ছেলে ও মেয়ের মেলামেশা করা ও একে অপরকে ভালভাবে চেনা-জানা ও যাচাই করার কোনোরূপ সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় বিয়ে মানে কোনো কিছু না জেনে অন্ধকারে
ঝাঁপ দেয়া। বিদেশে বিভিন্ন ধরনের ম্যারেজ কাউন্সেলর রয়েছে। সেখানে পাত্র-পাত্রী আলাদাভাবে উপদেশ বা দিক নির্দেশনা লাভ করতে পারে। আমাদের দেশে এই পদ্ধতি এখনো গড়ে উঠেনি। আশা করা যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এবারে আসি বর ও কনের ব্যক্তিত্বের খোলামেলা আলোচনায়।
ব্যক্তিত্ব একজন ব্যক্তির চাল-চলন, আচার-ব্যবহার, আবেগ-অনুভূতি সবকিছুর একটি সমষ্টিগত প্রকাশ। যে কয়টি বড় বড় ব্যক্তিত্বের ধরন নিয়ে আমরা আলোচনা করবো তার প্রতিটি উপসর্গ যে এক ব্যক্তির মধ্যে উপস্থিত থাকবে তা নয়। ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ মিলে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। তবে মলত যে উপাদানগুলি বেশি থাকে তাকে সেই ব্যক্তিত্বের গোত্রে ফেলা হয়।
১। দুশ্চিন্তা প্রবণ ব্যক্তিত্বঃ এই ব্যক্তিত্বের ছেলে কিংবা মেয়ে স্বাভাবিকের চেয়েও দুশ্চিন্তা প্রবণ হয়। অল্পতেই তারা নার্ভাস ফিল করেন। যে কোনো ছোটখাটো প্রতিকূল পরিবেশে তারা সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে না। সবসময় একটি দুশ্চিন্তাপূর্ণ ভাবের প্রকাশ থাকে তাদের চোখে-মুখে, কথা-বার্তায়। অন্যের কথা মন দিয়ে শুনে কম, নিজে বলে বেশি। প্রতিটি জিনিসকে নেগেটিভ ভাবে দেখার প্রবণতা বেশি। এদের আচার-ব্যবহার হয় অত্যন্ত দ্রুত, কথা-বার্তা বলে একটু ত্বরিত গতিতে। অনেক ক্ষেত্রে তোতলাতেও দেখা যায়। নিদ্রার সমস্যা, আহারের সমস্যা এবং কোষ্ঠের সমস্যাও থাকতে পারে।
২। হিস্টেরিয়া বা নাটকীয় ব্যক্তিত্বঃ এই ব্যক্তিত্বের প্রভাব মেয়েদের মধ্যে বেশি থাকে এবং ছেলেদের মধ্যে কম পাওয়া যায়। এরা নাটকীয়পনা পছন্দ করে বেশি। সাইকোলজিতে যাকে বলা হয় ড্রামাটাইজেশন। মনের বিপরীতে কোনো কথা এরা সহ্য করতে পারে না। প্রতিবাদের ভাষা অসুখের মাধ্যমে প্রকাশ করে। অনেকে ঘনঘন ‘ফিট’ বা ‘অজ্ঞান’ হয়ে যায়। অনেকের খিঁচুনি হয়, অনেকের আবার তাৎক্ষণিক স্মরণশক্তি লোপ পেয়ে যায়।
৩। সন্দেহবাতিক ব্যক্তিত্বঃ এই ব্যক্তিত্বের ছেলে বা মেয়ের সাথে সংসার করা অত্যন্ত কষ্টের। এই ব্যক্তিত্বের লোকদের প্রকাশভঙ্গি কম। ভালবাসা কিংবা আবেগ-এর প্রকাশ কম। সঙ্গিনী নতুন কিছু রান্না করলে বা চমৎকার সাজগোজ করলে এরা কোনো দিনই উৎসাহ ব্যঞ্জক কিংবা প্রশংসা সূচক কিছুই বলে না। সংসারের কাজকর্মে এরা থাকে নির্লিপ্ত। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ছোটখাটো কাজগুলোতে এরা প্রায় কেন করা হলো, কি জন্য করলো, কে করলো ইত্যাদি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। অনেক ক্ষেত্রে মাত্রার চেয়ে বেশি সন্দেহ প্রকাশ করে। মুখের কথায় এরা সঙ্গিনীকে ভালবাসায় ভিজিয়ে ফেলে কিন্তু কাজকর্মে ঠিকই সন্দেহ করে। বর ও কনে দু’জনেই যদি সন্দেহ প্রবণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয় তাহলে সংসার দোযখে পরিণত হয়।
৪। বাধ্যবাধক ও খুঁতখুঁতে ব্যক্তিত্বঃ সাধারণত মেয়েদের মধ্যে এটি পাওয়া যায় বেশি। একদম ছোট বেলা থেকে শুরু হয় এর কার্যকলাপ। উপসর্গগুলো প্রথম দিকে মাত্রায় অল্প থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এই অল্প মাত্রাতেই জীবন কেটে যায়। নানা রকম সাংসারিক টানাপোড়েন ও চড়াই-উৎরাই-এর মধ্যে উপসর্গগুলো কমবেশি হতে পারে। এই ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য এই যে, এরা প্রতিটি জিনিসে খুঁতখুঁত করে। একটি কাজ তারা একাধিকবার না করলে মনোপুত হয় না। ছোটখাটো যে কোনো কাজ একের অধিকবার করতে হয়। একবার কাজ করেই মনের সন্তুষ্টি পাওয়া যায় না। বারংবার তা করতে হয়। যেমন- হাত ধোয়া, ময়লা পরিষ্কার করা, গোসল করা ইত্যাদি। এই ব্যক্তিত্বের সঙ্গিনি যদি তার উপসর্গগুলোকে নিম্নমাত্রায় রাখতে পারেন তাহলে তিনি একজন আদর্শ গৃহিণী হতে পারবেন।
পাঠকগণ, আমরা এতোক্ষণ কয়েকটি ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করলাম। এছাড়াও আরো বেশ কিছু ব্যক্তিত্বের ধরন রয়েছে যা এখানে আলোচিত হলো না। তাই বিবাহের পূর্বে পাত্র বা পাত্রীর ব্যক্তিত্বের উপসর্গগুলো দেখে নেয়া বা জেনে নেয়া এখন অত্যন্ত দরকারী ।পাঠক আপনার কি মনে হয়?
0 comments: