কিছু মজার প্রশ্নের উত্তর

শুভ ভাগ্য বোঝাতে আড়াআড়ি আঙুল: প্রাচীনকালে খ্রিস্টানরা নাস্তিক্যবাদীদের দৃষ্টি এড়িয়ে মহান স্রষ্টার অনুগ্রহ লাভের জন্য এবং এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য শুভ করতে দুই হাতের আঙুলগুলো আড়াআড়িভাবে রাখত। এখন, সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ বা
চিহ্নের ভাষায় আড়াআড়ি আঙুল বোঝায়
‘গুড লাক’ বা ‘শুভ ভাগ্য’।

কনে সর্বদা বরের বামে: আমরা সবাই লক্ষ করে থাকব কনে সর্বদা বরের বামে থাকে। এমনকি বিয়ের পরও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সচেতন বা স্বভাবসিদ্ধ নিয়মমত বৌ স্বামীর বামে দাড়ান, বসেন, ছবি তোলেন, আরও কত কী। কখনও বা মনে প্রশ্ন জাগে কনে সর্বদাই বরের বাম পাশে কেন? কারণটি মজার। প্রথাটি চালু হয়েছিল সেই যুগে, যখন শক্তিমানকে পুজো করত মানুষ। বীরের ছিল আলাদা মর্যাদা। জোর যার মুল্লুক তার অনেকটা এমন ছিল সামাজিক কাঠামো। তখন বর পাশের গ্রাম বা রাজ্য হতে তার পছন্দনীয় পাত্রীকে বা কনেকে তুলে আনতেনন বা অনেকটা জোর করে বিয়ে করতেন। এমন প্রায়ই হত বৌ নিয়ে নিজের বাড়ি ফিরবার পথে কনের রুপমুগ্ধ অন্য কারও দ্বারা বা কনের আত্মীয়-পরিজনের হামলার মুখোমুখি হতে হত। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বর কনেকে রাখত বামে আর ডান হাত রাখত কোমরে রাখা তলোয়ারের উপর।

পেন্সিল কেন ষড়ভুজ: অধিকাংশ পেন্সিলের বাইরের গঠন ষড়ভুজাকার, গোল নয়। কারন ষড়ভুজাকার পেন্সিলের প্রস্তুতখরচ গোলাকারের তুলনায় কম। একই পরিমাণ কাঠে ষড়ভুজাকার পেন্সিল প্রস্তুত করা যায় ৯টি অথচ গোলাকার পেন্সিল হয় ৮টি। এছাড়াও ষড়ভুজাকার পেন্সিল টেবিলে গড়ায় কম।

টেনিসে শূন্য পয়েন্ট বা লাভ: টেনিস খেলা হিসাবে প্রথম জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফ্রান্সে। ওই সময় স্কোর বোর্ডে শূন্য পয়েন্টকে কেউ কেউ ডিম বলে ডাকত, যেহেতু শূন্য দেখতে অনেকটা ডিমের মত। ফ্রেঞ্চ ভাষায় ডিম হলো loeut যার উচ্চারণ লাভ। পরবর্তীতে টেনিস যখন ইংল্যান্ডে এ জনপ্রিয়তা পেল ফ্রেঞ্চ loeut ইংরেজিতে হয়ে গেল লাভ। এখন বাংলাদেশে ব্যাডমিন্টন বা টেনিস উভয় খেলাতেই শূন্য স্কোরের পরিবর্তে ‘লাভ’ উচ্চারণ জনপ্রিয়।

ছেলেদের ডানপাশে মেয়েদের বামে: কাজে কর্মে অধিকাংশই ডান হাত ব্যবহার করে থাকে। জামার বোতাম ডানপাশে এবং ছিদ্রটি বাঁদিকে থাকায় লাগানো যায় বেশ সহজে। ছেলেদের জামার বোতাম ডানে হলেও, মেয়েদেরটা কিন্তু বামে। কারন, প্রথম যখন বোতাম আবিষ্কৃত হয়, এটি ছিল বেশ মূল্যবান এবং একমাত্র অবস্থাসম্পন্ন কারও বোতাম লাগানো জামা পরা সম্ভব ছিল। এদিকে আবার ওই সময়ে অবস্থাসম্পন্ন বাড়ির মেয়েরা জামা নিজের হাতে পরতেন না। পরিচারিকা পরিয়ে দিত। যেহেতু পরিচারিকা মেয়েটির সামনে দাড়িয়ে জামার বোতাম লাগাত তাই পরিচারিকার সুবিধার জন্য জামার বোতাম থাকত বামে। সেই রেওয়াজটি এখনও রয়ে গেছে।

গ্লাস ঠোকাঠুকি: কোন উৎসবে পানের আগে গ্লাস ঠোকাঠুকির দৃশ্যের অবতারণা টিভি ও চলচ্চিত্রের পর্দায় আমরা হর-হামেশা দেখি । আর আমাদের সমাজে যারা পানে অভ্যস্ত তারা তো এটি নিজেরাই করেন। কিন্তু কেন করেন? একটি প্রাচীন বিশ্বাস থেকেই করেন। সেই প্রচীন কাল থেকে ভাবা হয় কোন উৎসব মানেই শয়তানের উপস্থিতি। উৎসবের নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং একে আনন্দমুখর করতে শয়তানকে তাড়ানো হয়। খ্রিস্টিয় বিশ্বাস থেকে শয়তান তাড়াতে চার্চে ঘন্টা বাজাতে হয়। ঘন্টাধ্বনির প্রতিরুপ শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে শয়তান তাড়াতেই গ্লাস ঠোকাঠুকি।

0 comments:

Blogger Gadgets